আহাম্মক | Ahammok
আহাম্মক
আব্দুর রউফ
ক্যামেরা হবে উনিশ-কুড়ি
কি হয়েছে দেখতে গেলাম
গিয়ে যা দেখতে পেলাম
দেখে চোখ হলো বড় বড়
কেউ এসে ভাই সাহায্য করো,
ক্যামেরাটা ভাই পকেটে ঢুকাও
সবাই একটু হাত লাগাও
নিয়ে যেতে হবে হাসপাতালে,
হাত-পা সব গিয়েছে ফুঁড়ে
এমন অবস্থা দেখে তোমরা,
কেমনে আছো চুপ?
মস্তিষ্ক কি নষ্ট হইছে
ওরে আহাম্মক?
আহাম্মক
কবি: আব্দুর রউফ
কবি পরিচিতি:
মূল ভাব ও পটভূমি:
Keyword
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)
১. কবিতার মূল প্রতিপাদ্য কী? * কবিতার মূল প্রতিপাদ্য হলো আধুনিক সমাজের উদাসীনতা, অমানবিকতা এবং দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তিকে সাহায্য না করে কেবল তামাশা দেখা।
২. কবি 'আহাম্মক' বলতে কাদেরকে বুঝিয়েছেন? * কবি 'আহাম্মক' বলতে সেই সব মানুষকে বুঝিয়েছেন যারা দুর্ঘটনার স্থানে ভিড় করে, ছবি তোলে কিন্তু আহত ব্যক্তিকে সাহায্য করার মানসিকতা দেখায় না।
৩. কবিতায় কোন ঘটনার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে? * কবিতায় রাস্তার ধারে একটি গাড়ি দুর্ঘটনার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে আহত ব্যক্তিকে ফেলে রেখে কৌতূহলী জনতা ভিড় জমায় ও ছবি তোলে।
৪. কবি মানুষের কোন আচরণের সমালোচনা করেছেন? * কবি মানুষের সহযোগিতা না করার, ভিড় জমানোর এবং ক্যামেরা নিয়ে ছবি তোলার মতো উদাসীন ও অসভ্য আচরণের সমালোচনা করেছেন।
৫. আব্দুর রউফের লেখার প্রধান বৈশিষ্ট্য কী? * আব্দুর রউফের লেখার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো সরল ভাষার মধ্য দিয়ে সমাজ ও মানুষের আচরণ নিয়ে গভীর ভাব প্রকাশ করা।
৬. কবিতার শেষ প্রশ্নটি কী? * কবিতার শেষ প্রশ্নটি হলো: "মস্তিষ্ক কি নষ্ট হইছে / ওরে আহাম্মক?" যা পাঠকের মানবিক দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
৭. কবিতায় ব্যবহৃত 'ক্যামেরা হবে উনিশ-কুড়ি' বলতে কী বোঝানো হয়েছে? * এর দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে ঘটনাস্থলে বহু লোক ছবি তোলার জন্য মোবাইল বা ক্যামেরা নিয়ে প্রস্তুত।
৮. কবি পরিচিতি অনুসারে, সাহিত্য জগতে আব্দুর রউফের আগ্রহের ক্ষেত্র কী? * তাঁর আগ্রহের ক্ষেত্র হলো সমাজ ও মানুষের আচরণ নিয়ে সচেতনতামূলক কবিতা ও লেখা রচনা করা।
.jpg)
No comments